north sikkim
north sikkim tour plan decoded
by Clinical Crossroads
পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থান হলো উত্তর সিকিম, বা নর্থ সিকিম। এখানকার অতুলনীয় সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতি বছর বিশাল সংখ্যক মানুষ ভীড় করেন।
ইয়ুমথাং উপত্যকা, গুরুডংমার হ্রদ এর মতো বিশিষ্ট পর্যটন থান থাকার সুবাদে, স্বাভাবিক কারণেই, সিকিম রাজ্যের ট্যুরিজম সেক্টর অনেকটাই নর্থ সিকিমের ওপর নির্ভরশীল।
শরত কাল নীল আকাশ ও বরফ ঢাকা পাহাড় উপহার দেয়। শীতকালে অত্যন্ত ঠান্ডা ও বরফের কারণে নর্থ সিকিম সার্কিট বন্ধও হয়ে যেতে পারে। বসন্ত কালেও নর্থ সিকিম সুন্দর ভাবে ধরা দেয়।
ট্রাভেল ওয়েবসাইট গুলি, যেমন Makemytrip, GoIbibo, Expedia বা Agoda অনেক হোটেলের সন্ধান দেয়। হোটেল ইন্ডাস্ট্রির বিকাশ এখানে চোখে পড়ার মতো।
গাড়ি ও ভ্রমণ পার্মিট
কিভাবে পৌঁছোবেন
শিলিগুড়ি থেকে শুরু হয় যাত্রা। শহরটি কলকাতা, গুয়াহাটি, পাটনা সঙ্গে রেল ও বাস দ্বারা ভালোভাবে যুক্ত। শহরের কাছেই অবস্থিত বাগডোগরা বিমানবন্দর। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমান পরিষেবা উপলব্ধ। Vistara, GoAir ও অন্যান্য বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাফেরা করে। বিষদ তথ্যের জন্য আপনি MakeMyTrip জাতীয় ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।
শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক কিছু ঘন্টার পথ। গাড়ি ও বাস সহজেই পাওয়া যায়। শেয়ার গাড়ি বা পুরো গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। বিষদে জানতে এখানে দেখতে পারেন।
ট্রাভেল এজেন্ট এর মাধ্যমে বুকিং করবেন না একক ভাবে
যদি আপনি তা করতে না চান, তবে একাধিক ট্রাভেল এজেন্ট আছেন, যাঁরা আপনার ট্যুরের ব্যবস্থা করে দিতে সক্ষম। কাস্টোমাইজড বা পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ট্যুর... দুই সুবিধাই পাওয়া যায়।
পর্যটকরা সাধারণত শুরুতে গুরুডংমার হ্রদ ঘুরে তারপর ইয়ুম্থাং এর দিকে যান। তবে আমি উল্টোভাবে প্ল্যান করেছিলাম, এবং গুরুডংমার হ্রদে শেষে গিয়েছিলাম। ফল স্বরূপ, ১৭০০০ ফুট উচ্চতার এই হ্রদে যাওয়ার আগে, ভালো ভাবে অ্যাক্লাইমাটাইজ হয়ে যেতে পেরেছিলাম।
পঞ্চম দিনঃলাচেন থেকে গুরুডংমার হ্রদ। আবার লাচেনে ফেরত।
ষষ্ঠ দিনঃলাচেন থেকে গ্যাংটক
সপ্তম দিনঃগ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি
তবে যদি আপনার হাতে সময় কম থাকে, তাহলে আপনি লাচুং ও লাচেন এ অতিরিক্ত দিন নাও থাকতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তা আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে।
সেক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণ প্ল্যান হয় এই রকমঃ
পঞ্চম দিনঃগ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি
ভালো জ্যাকেট, উলিকট, মাংকি টুপি, মাফলার, গ্লাভস, মোজা ও জুতো সঙ্গে নেবেন। ইয়ুম্থাং, জিরো পয়েন্ট ও গুরুডংমারে অত্যন্ত ঠান্ডার সম্মুখীন হতে পারেন।
স্বাস্থ্য
গুরুডংমারে পৌঁছোনোর আগে যদি আপনি উপযুক্তভাবে অ্যাক্লাইমাটাইজ না হতে পারেন, তাহলে সেখানে গিয়ে স্বাশ-কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। শ্বাসকষ্ট হলে সেখানে উপস্থিত সেনাবাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। সঙ্গে আপনি পোর্টেবল অক্সিগেন ক্যাপ্সুল নিয়ে যেতে পারেন।
বয়স্ক মানুষ ও যাঁদের হার্টের অসুখ আছে, তাঁদের এত উচ্চতায় সমস্যা হতে পারে। গর্ভবতী নারী, ছোটো বাচ্চারাও সমস্যায় পড়তে পারেন, তাই তাঁদেরও না যাওয়াই উচিৎ।
বাজেট
ব্যস। আপাতত এইটুকুই বলার।
বেড়ানোর অগ্রীম শুভেচ্ছা।
এরকম আরো ভ্রমণ গাইড আর ট্রাভেলগ পেতে এখানে ক্লিক করুন।!